আওয়ামী লীগের সাফল্যে ওদের গা'জ্বালা করে। যে কাজটি ওরা করার কথা ভাবতেও পারে না বা ভাবে না, সে কাজটি আওয়ামী লীগ সম্পন্ন করে সাফল্যের তুঙ্গে যাবে এটা ওরা কখনোই মানতে পারেনি বিগত বছরগুলোতেও। প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে এই দেশদ্রোহীদের অবাধ বিচরণ । এরা প্রশাসনের প্রত্যেক শাখায় প্রশাখায় মজবুত শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আওয়ামী লীগের নবাগত নেতৃত্ব দখল করে আছে এ রকম অনেক জামাত শিবির ও বি এন পি’র প্রাক্তন নেতাকর্মী। বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় এই নবাগত আওয়ামী লীগারের সংখ্যা সব চেয়ে বেশী। ছাত্রলীগ, যুব লীগ ও অন্যান্ন অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতানেত্রীদের সাথে বন্ধুত্বের সূত্রধরে অনেকেই নব্য আওয়ামী লীগার হিসেবে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের সাথেও হৃদ্যতা ও আন্তরিকতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এদের অনেকেই ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত জামাত বি এন পি’র এক্টিভ মেম্বার ছিলেন। এই স্বাধীনতা বিরোধীচক্রের গোপন চক্রান্ত আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি সাফল্যকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করার অন্তরালে ক্যান্সারের মতো কাজ করছে, যা’ আওয়ামী লীগ এখন অনুভব করতে পারছে না বা উপলব্ধিতে নেবার প্রয়োজনবোধ করছে না।
“প্রথমবারের মতো 'পেপারলেস' অর্থাৎ কাগজহীন ফল প্রকাশের সুফল ভোগ করতে পারেনি ফলপ্রার্থীরা। এ বছরই প্রথম এইচএসসি পরীক্ষার ফল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। গতকাল দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসির ফলাফল ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হলেও কোনো প্রতিষ্ঠানই সঠিক সময়ে ফল ডাউনলোড করতে পারেনি। রাজধানীর কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যথেষ্ট বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে।“
“ডিজিটাল বাংলাদেশ” ভিশন ২০২১ এর অন্যতম একটি সাফল্যের অংশ হিসেবে সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল ডিজিটাল পদ্ধতিতে জানানোর ব্যবস্থা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অথবা অধ্যক্ষ স্বশরীরে হাজির না হয়ে ইমেইলের মাধ্যমে পিডিএফ, এম,এস,ওয়ার্ড অথবা এম,এস,এক্সেল ফাইল হিসেবে মুহূর্তেই নিখুঁত ফলাফল পেতে পারেন। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এটি আওয়ামী লীগ সরকারের একটি ক্ষুদ্রতম হলেও জাতীয় উন্ন্যয়নের তালিকায় মাইলফলক হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে।
আওয়ামী লীগের সব কাজ ও সিদ্ধান্তসমূহই স্বঠিক, এ কথা আমি কখনো অন্ধত্বেরবশে স্বীকার করি না কিন্তু বলতেই হবে এই সর্বাধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিটি আওয়ামী লীগের একটি বিশাল সাফল্য। যেখানে শিক্ষার্থীদের ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনে থেকে, হাজারো মানুষের ভীড়ে হুড়াহুড়ি ঠেলাঠেলির মতো সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় ফলাফল জানার জন্য। সেখানে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি দেবার মহৎ উদ্দেশ্যকে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বিফলতার গ্লানি হিসেবে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নতুন প্রজন্ম তথা দেশবাসীর কাছে ক্ষুন্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করার পিছনে বোর্ড অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অবহেলা, স্বীয় কর্মে গাফিলতি অথবা উদ্দেশ্যপ্রণোতিদভাবে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্টা কি না? সেটি ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এই ভোগান্তির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া অতি জরুরী। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় এতদ্ববিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠণপূর্বক স্বঠিক তথ্য উদ্ঘটনের জোড় সুপারিশ থাকলো।