Featured Post

আওয়ামী লীগে আস্থা রাখুন

SUPPORT AWAMI LEAGUE,STAY WITH AWAMI LEAGUE

Sunday, December 6, 2015

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ হারুন-অর-রশিদ

SUPPORT AWAMI LEAGUE, VOTE NOUKA ONCE AGAIN
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ  হারুন-অর-রশিদ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর সম্প্রতি প্রকাশিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী আমাদের জাতীয় রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ আকার গ্রন্থ। এতে ১৯৪৭ সালের বিভাগ-পূর্ব বাংলা ও বিভাগ-উত্তর পাকিস্তানি শাসনের গোড়ার দিকের বঙ্গবন্ধুর জীবন ঘনিষ্ঠবিচিত্র ঘটনাবলি মূর্ত হয়েছে। নিজ নেতৃত্ব ও কর্মগুণে সমকালীন রাজনীতিকদের অনেককে ছাপিয়ে তাঁর নেতৃত্বের উত্থান ইতিহাসের এ  কালপর্বেও দেদীপ্যমান। বঙ্গবন্ধু রচিত গ্রন্থের এবং যে কালপর্বে তা পরিব্যাপ্ত, ড. হারুন-অর-রশিদ-এর একাডেমিক উৎসাহ ও গবেষণার খেত্রেও একই। বলা আবশ্যক, ঐ গ্রন্থ পাঠ থেকেই তাঁর পুনর্পাঠ গ্রন্থের সৃষ্টি।বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথায় ব্যক্ত বিভিন্ন ঘটনার পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক মানস-গঠন, নীতি-আদর্শ-নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক দর্শন, ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় তাঁর নেতৃত্ব ও অনন্য ভুমিকা, তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কারাস্মৃতি ইত্যাদি বিষয় পূর্বাপর সময়ের ক্যানভাসে সাজিয়ে ড. হারুন-অর-রশিদ এ গ্রন্থে বিশ্লেষণ করেছেন।

ঢাকা জেল 
১৬-৪-৫৯
রেনু, 
আমার ভালোবাসা নিও। ঈদের পরে আমার সাথে দেখা করতে এসেছো ছেলেমেয়েদের নিয়ে আস নাই। কারণ তুমি ঈদ করো নাই। ছেলেমেয়েরাও করে নাই। খুবই অন্যায় করেছো। ছেলেমেয়েরা ঈদে একটু আনন্দ করতে চায়। কারণ সকলেই করে। তুমি বুঝতে পারো ওরা কতো দুঃখ পেয়েছে। আব্বা ও মা শুনলে খুবই রাগ করবেন। আগামী দেখার সময় ওদের সকলকে নিয়ে আসিও। কেন যে চিন্তা করো বুঝি না। আমার যে কবে মুক্তি হবে তার কোনো ঠিক নাই। তোমার একমাত্র কাজ হবে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখানো।টাকার দরকার হলে আব্বাকে লেখিও, কিছু কিছু মাসে মাসে দিতে পারবেন। হাছিনাকে মন দিয়ে পড়তে বলিও। কামালের স্বাস্থ্য মোটেই ভাল হচ্ছে না। ওকে নিয়ম মতো খেতে বলিও। জামাল যেন মন দিয়ে পড়ে আর ছবি আঁকে। এবার একটা ছবি একে যেন নিয়ে আসে আমি দেখব। রেহানা খুব দুষ্ট ওকে কিছুদিন পর স্কুলে দিয়ে দিও জামালের সাথে।যদি সময় পাও নিজেও একটু লেখাপড়া করিও। একাকী থাকাতে একটু কষ্ট প্রথম হতো। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে কোন চিন্তা নাই। বসে বসে বই পড়ি। তোমার শরীরের প্রতি যত্ন নিও।
ইতি-
তোমার মুজিব
:: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (অসমাপ্ত আত্মজীবনী)

Thursday, September 17, 2015

মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যের শিকার কেন? মোকতেল হোসেন মুক্তি

SUPPORT AWAMI LEAGUE

মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যের শিকার কেন? 

বলা হয়ে থাকে সকল মুক্তিযোদ্ধারাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সন্তান। তাহলেই সকল মুক্তিযোদ্ধারা জাতিগতভাবেই ভাই ভাই অর্থাৎ জাত ভাই বা যোদ্ধাভাই কারণ সকলের পদবী তারা মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনী বা মুক্তিফৌজ "বিচ্ছু"।জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্রের যদি বৈষম্য না থাকে তাহলে আমরা সকলেই মনুষ্যপ্রাণী। আমরা আল্লাহ্‌ তায়ালার সর্ব শ্রেষ্ট জীব (মানুষ-মান ও হুষ=)মানুষ।রক্ত মাংস জ্ঞান বুদ্ধি চৈতন্য উপলব্ধি অনুভূতি অতি তীক্ষ্ণ ও সূক্ষ্মভাবে স্নায়ুতন্ত্রের সাথে স্থাপন করেই আদিম রুপে একটি মাক্বলুকাত আল্লাহ্‌ সোবহানাল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছিলেন। বহু জ্ঞানী গুনি ঋষি দার্শনিক সাম্যবাদ মানবতাবাদের বহুবিধ তত্ত্ব, তথ্য ব্যাখ্যা হাজারো ভাবে প্রদান করেছেন। সকলের সকল গবেষণার মুল লক্ষ্য সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। বিধাতাও মনুষ্যজাতির মধ্যে ভেদাভেদ রেখে সৃষ্টি করেন নি, তাই আমরা আশরাফুল মাক্বলুকাত অর্থাৎ আমরাই শ্রেষ্ঠ জীব ।তো সে শ্রেষ্ট জীব মানব জাতিকে লক্ষ কোটি শ্রেণীতে আমরাই বিভক্ত করে সৃষ্টি করেছি নিম্নশ্রেণী, নিম্নবিত্ব, মধ্যশ্রেনী-মধ্যবিত্ব উঁচু শ্রেণী উচ্চবিত্ব। আমরাই সৃষ্টি করেছি হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান। আমরাই ধনি গরীবের স্রষ্টা; আমরাই সমাজ ও সমাজপতি; আমরাই ধনি আমরাই গরীব আমরাই শ্রেনীবিভেদের কুঠার আঘাতে মানব সভ্যতাকে করেছি উঁচু নিচু ও মধ্যশ্রেণী বিন্যাস।যখন রাজনৈতিক নেতাগণ অসহায় নিরীহ ঘর ছাড়া বাস্তহারা জীর্ণ শীর্ণ অথর্ব লাচারের নিকট ভোট ভিক্ষা চাইতে যান,
তখন তারা ভুলে যান শ্রেনীবিভেদের অহমিকা ও অহংকারের কথা; তখন বস্তির দুর্গন্ধে তাদের নাগ কারণ ঐ জীর্ণ শীর্ণ অসহায় ব্যক্তিটির একটি মহা মূল্যবান ভোট তাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে। সে কারণে অনেক লোভনীয় আশ্বাসের বানী শুনিয়ে ঐ অসহায় ব্যক্তিটিকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখান। ঠিক একই ভাবে অনেক রাষ্ট্র প্রধানগণই এই ৩ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও বহু আশ্বাসের বানী শুনিয়ে, মাথায় থ্রি নাট থ্রি বন্দুকের ছবিওয়ালা টুপি পড়িয়ে, এক বেলা বিরিয়ানি খাইয়ে ক্বোরবানীর গরু প্রদর্শনীর মত লঙ মার্চ করতে শের ই বাংলা নগর অথবা বিজয় স্বরনীতে নিয়ে প্রখর রৌদ্রতাপে মগজ ঝলসে দেন। ভূয়সী প্রশংসা করেন; সনদ বিতরণ করেন; স্বর্ণের নামে পিতলের স্ক্রেচ প্রদান করেন; দুই চার হাজার টাকাও দেয়া হয় মাঝে মধ্যে। ধরে নিলাম ওরা চোর লুটেরা জ্ঞানহীন লোভী দুর্বৃত্ত! তাই মন্ত্রী সচিব থেকে শুরু করে আয়োজকের সবাই মুক্তিযোদ্ধা ও বিদেশী সকল মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সৌজন্যে “সন্মান না” প্রদর্শনের নামে লুট পাট করেছে। স্বর্ণ দিয়ে স্ক্রেচ তৈরির নাম করে ৩ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা, জাতিরজনক এবং বিদেশী সমর্থক গোষ্ঠীর সকলকে অপমান ও কলুষিত করেছে। সে বিচার জাতি না হয় নাই চাইলো।আমার এ লেখার প্রসঙ্গ তা’নয়। ক্যাপ্টেন তাজ কি করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কি করেছেন? আমি সেদিকে যাবো না। এমন কি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সহজ সরল বুদ্ধিদীপ্ত গুণীজন “স্বাধীন বাংলা বেতার কাঁপানো”#চরমপত্রের” রচয়িতা এম আর আকতার মুকুল স্যারকে দিয়ে করানো মরহুম ব্রিগেডিয়ার আমিন উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ভুয়া অধ্যক্ষ আহাদ চৌধুরী, বি এন পি’র রেদোয়ান আহমেদ বা বর্তমান হেলাল মোরশেদের কথাও বলতে যাবো না।
সব দুর্বৃত্তরাই এ ক্ষুদ্রভূমির সম্পদগুলো বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ প্রকল্পের নামে, উন্নয়নের নামে, রাজনীতির নামে, সংস্কারের নামে লুটে পুটে খেয়েছে। তাদের কথা লিখে আবার মামলা খেতে রাজি নই।কিন্তু যে কথাটি বলতে চাই-সে কথাটি বলে কোন পণ্ডিতের অশ্রাব্য গালি খেতে হয় কেই জানে? তবু বলতে হয়; বলতে হবে। না বললে যে আমার উপরই আমি অবিচার করবো। সম্প্রতি সর্বজনবিদিত প্রকাশ্যে ধূমপানের কারণে বিতর্কিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মাননীয় সাংসদ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী মরহুম সইয়েদ মোহসীন আলী ও আমার ভারতে মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষন কালীন ডেপুটি কম্যান্ডার অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক স্যারের মৃত্যুতে দেশের প্রধান দুই কর্ণধার কর্তৃক একজনকে মহাসন্মান আর একজনকে রাষ্ট্রীয় অমর্যাদার কারণে আমার বুকের ভিতর লুকিয়ে থাকা সকল হতাশা আজ আগ্নেয়গিরির অগ্নি স্ফুলিঙ্গের মতই জ্বলে উঠতে চাইছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কোন একজন ষ্টাফ এ শোকবানী গুলো প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রেরণ করেন। অতি সামান্য কাজ। এ কাজটি করতে কারো অনুমোদনের দরকার হয় না।যদি সমাজকল্যানমন্ত্রী মহোদয় মৃত্যুকালীন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পান, তাহলে অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক স্যার কেন পাবেন না? এক দেশ, একই মুক্তিযুদ্ধের নায়ক, একই যোদ্ধা, একদিনেই মৃত্যুবরন করলেন। মর্যাদার ক্ষেত্রে কেন দুই রকম? এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবেন?মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার জন্য? শুধুমাত্র এম পি মন্ত্রী আর জেনারেলদের জন্য? ভেবেছিলাম, জীবনে আর কারো বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অপকর্মের বিরুদ্ধে কখনোই লেখা লেখি করবো না। কিন্তু পারলাম না চুপ থাকতে।আপনারা বড় বড় জ্ঞানি উচ্চ শিক্ষিত কবি সাহিত্যিক অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিক্ষক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার উকিল মোক্তার সবাই আমার চেয়ে অনেক ঢের বেশী বোঝেন। তাই আপনাদের হাতেই দেশ চলছে; উন্নয়ন হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ধরে নিলাম এই এগিয়ে যাবার পিছনে-আমি হতভাগা মুক্তির বিন্দুমাত্র অবদান নেই। বুঝে নিলাম-আবারো আমি কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হব। তাতে এতটুকুন ভয় নেই আমার।১৬ কোটী ১০ লক্ষ মানুষই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির দৃষ্টিতে সমান মর্যাদা সম্পন্ন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাবলে একজন পিতা আর একজন মাতা।
একজন মুক্তিযোদ্ধার মহা প্রয়াণে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শোক বানী মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়; ঠিক পাশাপাশি আর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ শিখিত শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে একটি সংবাদও প্রচার করা হয় না ?মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজকল্যানমন্ত্রীর জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শোকবানী প্রেরণ করা হয়;মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মাষ্টার আব্দুর রাজ্জাকের ক্ষেত্রে সেটিই হল না কেন? আমি জাতির কাছে জানতে চাই; মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে কৈফিয়ত চাই। জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়ে দিন।এই বৈষম্যের কারণেই বাঙ্গালী জাতির প্রানের দাবী ১১ ও ৬ দফা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রণীত হয়েছিল। এই বৈষম্যের কারণেই পশ্চিমা হায়েনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই।সকল মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়মর্যাদা সমানভাবে প্রদান না করা হলে ধরে নেবো স্বাধীনতার ফসল ৭০ দশকের হায়েনাদের ঘরে । 

মোকতেল হোসেন মুক্তি সহ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগ সভাপতি, সময়৭১ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ। 

Saturday, August 9, 2014

১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট

১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট গুটিকয়েক বন্দুকধারী বিপথগামী কুজন্মা কুলাঙ্গার এই বিশ্বকাপানো বিশ্বনেতাকে রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মত স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকায় আবার চন্দ্রবিন্দু (চাঁদ তারা) বসানোর হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিলো। ওরা এখনো গোটা দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে গঞ্জে আস্তানা গেড়ে আছে ধর্মের নামে, ইসলামের নামে, ধর্মীয় শিক্ষার নামে এবং ওদেরকে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আর্থিক সহায়তাসহ সার্বিক পরিচালনা করছে, তাদের কেউ না কেউ, কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের ভিতরেও প্রবেশ করতে পেরেছে। জাতিরজনকের স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ণের ক্ষেত্রে ঠিক বঙ্গবন্ধুর মতো একই উদার নীতির বিপক্ষে কিছু কথা বলার জন্যই এ লেখা শুরু করেছি। হয়তো বুঝিনা, অথবা না বুঝেই পোদ্দারপট্টির অথর্ব প্রফুল্ল পোদ্দারের মতো দোকানে কোনো কাষ্টমার না থাকলে যেমন বিড় বিড় করত, ঠিক তেমনি কিছুক্ষণ বিড় বিড় করে ঘুমিয়ে পরবো । আমরা হচ্ছি ছাগলের তিন নম্বর। বাচ্ছা শব্দটি আর লিখলাম না। কারণ নেতানেত্রীগণ আমাদের যতোই বাচ্ছা বলে এড়িয়ে যাকনা কেনো আমরা আর বাচ্ছা নই, শুধু তাই নয়, আমাদের বাচ্ছারাও এখন মূখ ফুটে তাদের মনের কথা বলতে শিখেছে। আমাদের আগামী প্রজন্ম আমাদের পূর্বসূরিদের চেয়ে অনেক সতর্ক ও স্বচেতন মেধার অধিকারী ।

 

Monday, September 9, 2013

আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন -বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন।

SUPPORT AWAMI LEAGUE, VOTE NOUKA ONCE AGAIN

আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন -বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। জোট সরকারের সংখ্যালঘু নির্যাতন
১। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সমগ্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করলো কারা ? 
২। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর পূর্ণিমা ফহিমা রীতা রানীদের সম্ভ্রম হানী করলো কারা। ? 
৩। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ভোলার ইউ পি সদস্য সেফালী সরকারের সম্ভ্রমহানী করলো কারা ?
৪। ২০০১ সালের ৪ঠা অক্টোবর লালমোহনের রীতা রানী দাসকে গনধর্ষণ করলো কারা ?
৫। ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর উল্লাপাড়ার নিজ মায়ের সামনে পূর্নিমা রানীকে গনধর্ষন করেছিল কারা ?
৬। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর মোল্লার হাটে বোমা বিস্ফারণ ঘটিয়ে হিন্দুদের মারলো কারা ?
৭। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর মীরেরসরাইতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করলো করা ?
৮। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর রাউজানের প্রভাত দাসের বাড়ী জালিয়ে দিয়েছিল কারা ?
৯। আগৈলঝড়ার ১৪ বছরে কিশোরী রাসমনি বাইনকে নির্যাতন করেছিল কারা ?
১০। গৌরনদীর অন্ত:সত্ত্বা সাবিত্রী দাসকে গন ধর্ষণ করেছিল কারা ?
১১। অন্নদাপ্রসাদ গ্রামের বাল্য বধির সেফালী রানী দাসকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১২।বাঁশখালিতে ১৩ জন সংখ্যালঘুকে পুড়িয়ে মেরেছিল কারা ?
১৩। লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে নিজ বাড়ীতে গৃহবধু সুজাতা রানীকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১৪। আগৈলঝড়ার ইউপি সদস্য রেনুকা রানীকে ধর্ষন করেছিল কারা ?
১৫। গফরগাওয়ের জ্যোতস্নাকে গণধর্ষন করেছিল কারা ?
১৬। চট্টগ্রামের চন্দনাইশে হিন্দু পাড়ায় হামলা করেছিল কারা ?
১৭। বাগেরহাটের যাত্রাপুরের ঠাকুর বাড়িতে এক রাতে ২৩ জন গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছিল কারা ?
১৮। নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহরীকে হত্যা করলো কারা ?
১৯। ২৩। রামু বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা করে জ্বালিয়ে দিলো কারা ?
২০। আবারো কি লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু দেশ ছাড়া হবে ?

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণ বাঙালির প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা

SUPPORT AWAMI LEAGUE, VOTE NOUKA ONCE AGAIN

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণ বাঙালির প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা সূধীজন প্রতিক্রিয়া….

 
যারা ভেবেছিল ১৫ই আগস্ট জাতির জনককে হত্যা করে ইতিহাসের স্রোতস্বিনী নদীর পথ বদলে দেবে তারা ভুল করেছিলো। যারা ভেবেছিল দেবশিশু রাসেলকে হত্যা করে এদেশের ভবিষ্যৎ এর মুখে কুলূপ এঁটে দেবে তারা ভুল করেছিলো। যারা ভেবেছিল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে এদেশের নিয়মকানুনের ধারার পায়ে বেড়ি পেরিয়ে দেবে তারাই’ তারা সকলে ভুল করেছিল। ইতিহাসের শাখা প্রশাখা ঘুরে মহাত্মা গান্ধীকে দেখতে পেয়েছিলাম যিনি অহিংসার পুজারী ছিলেন। নাথুরাম গডস নামক একজন ঘৃণিত মানুষ তাকে হত্যা করেছিল। রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার এর সাথে নিরস্ত্র অবস্থায় বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাকে হত্যার মাধ্যমে। সমাজতান্ত্রিক আদর্শে উজ্জীবিত চিলির প্রেসিডেন্ট আলেন্দ্রেকে কুচক্রীরা হত্যা করেছিল। পাবলো নেরুদার মতো দেশপ্রেমিক যার হ্রদয় ছিল স্বদেশ, স্বদেশেরই করুণ ট্রাজেডির শিকার তিনিও। এভাবে পৃথিবীর অসংখ্য সূর্যসন্তানদের উচ্চাভিলাষী দুর্বল সংকীর্ণ মানুষগুলো হত্যা করলেও এই ভালবাসার মানুষগুলো দেশ হয়ে উঠে।
১৯২০ সালে টঙ্গিপাড়ায় যে ছেলেটির জন্ম হয়েছিল পরাভূত বাঙালির মুক্তির জন্য যিনি দীর্ঘজীবন কারাগারে অন্তরীন থেকেও মুক্তির নেশায় উব্দেলিত ছিলেন যারা লালিত স্বপ্ন একদা মুক্তির সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্মদান সম্ভব হয়েছিল সেই অসম সাহসিক ভালবাসার মানুষটিকে নির্মমভাবে ষড়যন্ত্রের বেড়ায় আবদ্ধ করে ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এদেশপ্রেমিক মানুষটিকে হত্যার মাধ্যমে তিনি দেশ কেন বাঙালির হৃদয়ে পরিণত হয়েছিলেন।
তাঁর আত্মার স্পন্দন জাতির বিবেকের কাছে অবিচ্ছেদ্য হয়ে পড়েছে। বিচ্ছেদ ও বিষাদে ঢাকা তার বত্রিশ নম্বর ধানমন্ডি প্রতিটি বাঙালির দীর্ঘশ্বাসে উপজীব্যতা পেয়েছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মুখে সেঁটে গেছে এক রাসেলের নিষ্পাপ মুখ।
পৃথিবী যতদিন থাকবে’ ততদিন যেমন বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় ভালবাসা, দেশপ্রেম, ৭ই মার্চ থাকবে। তেমনি থাকবে খন্দকার মোশতাকসহ সমস্ত মানবতা ও সভ্যতাবিরোধী মানুষগুলোর নাম ব্র“টাস্ মীর জাফরদের কলঙ্কিত অধ্যায়ে। ওরা পশু ছিলানা কারণ পশুরা প্রকৃতির নিয়মে চলে। ওরা মানব নামে দানব ছিল। ছিল বলেই রাতের আলো আধারীতে ষড়যন্ত্রে বেড়াজাল বুনতে ভালবাসতো। একাত্তরে যারা জেনারেল ইয়াহিয়া, জুলফিকার আলী ভূট্টোর পা চেটেছিল, ১৯৭১ সালে যারা নিক্সন কিসিঞ্জারের বিদেশনীতিতে উষ্কে উঠেছিল, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী ছিল তারাই ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে সমূলে উৎপাটনের প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। ভাবতে অবাক লাগে তৎকালীন সেনা অফিসার জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর ৭ দিনের মধ্যেই সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশের সূর্য সন্তান স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে অর্ন্তভূক্তি ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করেছিলেন। বাঙালির ইতিহাস বিভ্রান্তি অবাক করে, সঠিক ইতিহাস দিনের পর দিন বিকৃত করা হয়েছে। মুছে দেওয়া হয়েছিল সংবিধানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারা।
স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বাধীনতা পরবর্তীকালীন সময়ে ১২১ টি দেশ স্বীকৃতি দান করেছিল অথচ, কেন ১৯৭৫ সনে এসে ১৬ই আগস্ট সৌদিআরব ও ৩১ শে আগষ্ট চীন স্বীকৃতি দেয়? এবং লিবিয়া কিভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দান করে? কেন বৈদেশিক অর্থের যোগান ঘটে ? কিভাবে সি.আই.এ বঙ্গবন্ধুর খুনের সথে চক্রান্তে ছিল ?।
কেন পরাজিত পাকিস্থান বাহিনী ১৫ই আগষ্টকে অভ্যূত্থান বলে ঘোষনা দিয়েছিল ? সেই আগস্ট মাসেই কিভাবে পাকিস্থান ৫০ হাজার টন চাল দেড় কোটি গজ কাপড় বাংলাদেশকে তৃপ্তিভরে উপঢৌকন দেয়। তারজন্য একদিন আর্ন্তজাতিকভাবে তাদের ক্ষমা চাইতেই হবে। কারণ যেখানে বঙ্গবন্ধুর শরীরে দেশের মাটি উর্বর হয়েছে, সেখানে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তে স্রোতস্বিনী নদীতে বান ডেকেছে। যেখানে জাতীয় চারনেতার নিঃস্বার্থ দেন ও সর্বোচ্চ মানে বাংলার পাহাড় উপত্যকা সমৃদ্ধ হয়েছে, সেখানে কোন চক্রান্ত ও দূরভীসন্ধিকারী পালাবার পথ খুঁজে পাবেনা।
১৫ই আগষ্টের পর ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত পুরো বাংলাদেশকে থামিয়ে দেয়া হয়েছিল। রাতের ঢাকাতে ছিল আর্মির হুইসেল, ট্যাংকের ঝমঝম দানবের শব্দ, নিষ্ঠুর, কৃপন, কপট, ধূর্ত মানুষগুলোর আভ্যন্তরীন ও আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের ফিসফিস রঙ্গালাপ। আমাদের চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, মনছুর আলী ও তাজউদ্দিন আহমেদকে তাদের মন্ত্রী পরিষদের শপথ করিয়ে তাদের আইনের কঠোর বেড়াজালে বাঁধতে চেয়েছিল। মাথানত করেনি আমাদের নেতৃবর্গ। সংবাদপত্রের উপর ষড়যন্ত্রকারীরা সেন্সরশিপ দিয়ে রাজনৈতিক কার্য্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড স্থবির করে অগনীত রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গুপ্ত হত্যা করা হয়েছিল। যার কোন হিসাব নেয়। জাতীয় চারনেতার বিচক্ষণতা ও জ্ঞানের সম্ভার, অমোঘ দেশপ্রেম কুচক্রীদের যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারারুদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে ৩রা নভেম্বর হত্যা করা হয়। তারপর দীর্ঘ অরাজকতা, ভোটের নামে ভোট ডাকাতি। ইতিহাসের সব মহৎ মানুষগুলোকে হত্যার পেছনে কারণ ছিল ভালবাসা ও দেশপ্রেম।
১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আগমন ৩২ নং ধানমন্ডিতে পদচারনে পুরো বাংলাদেশ যেন কেঁদেছিল সেদিন। অঝোর ধারায় সেই বর্ষার বাদল আর মানুষের কান্না এক হয়েছিল। যেন হারানো এতিম সন্তানটা ঘরে ফিরল। কোন প্রতিশোধ নয় প্রতিহিংসা নয় পুরো পৃথিবীর দুয়ারে পিতৃহত্যার বিচার চাইতে চাইতে অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ও আইনানুগভাবে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলকরণের মাধ্যমে পিতৃহত্যার বিচারে তিনি সফল হয়েছিলেন। ধণ্যি শেখ হাসিনা।
আমাদের বোন, শেখ হাসিনাকে বলছি, তোমার স্বপ্নই আমাদের আলোদীপ্র, তোমার আনন্দ আমাদের উৎস, তোমার অনুভব আমাদের অনুভূতি, তোমার ত্যাগ আমাদের দেশপ্রেম, তোমার বুকজুড়ে দেখ আমাদের ভালবাসা, আমাদের চোখে দেখ তোমারই ‘সোনার বাংলা’ কতটা কাছে, হাতবাড়াও তোমারই চৌহদ্দীতে।

কথা কম কাজ বেশী

SUPPORT AWAMI LEAGUE 
আওয়ামী লীগ 'কথা কম কাজ বেশী'' নীতিতে বিশ্বাসী। ৪২ বছরের বাংলাদেশে যতোগুলো সরকার এসেছে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে অতি দক্ষতার সাথে বিচক্ষনতার সাথে মহা দুর্যোগ ৫ ও ৬ ই মে'র মতো ভয়াবহ চক্রান্তকে অতি সুনিপুন দক্ষ প্রশাসকের ন্যায় অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে নশ্চাত করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য কোন সরকার হলে ওই রাতে ঢাকায় রক্তের হলি খেলা বয়ে যেতো। আওয়ামী লীগ শুধু কথায় বিশ্বাসী নয়। এক) আওয়ামী লীগ সুদক্ষ বিজ্ঞ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ঢাকা মহানগরকে বিশ্বের অন্যান্য রূপসী নগরের মতোই সর্ব শ্রেনীর মানুষ বাসযোগ্য করে তুলেছে এবং তা'শূধু মাত্র এই ৪ বছর আট মাসে। হাতির ঝিলের নোংড়া বদ্ধ ডোবাকে আওয়ামী লীগ সরকার করে তুলেছে হংকং লন্ডন সিঙ্গাপুর কুয়ালালামপুরের মতো মুক্ত হাওয়ায় স্বপরিবারে ছেলে মেয়ে স্ত্রী পুত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মতো একটু মনোরম পরিবেশ;
দুই) যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারঃঢাকা মহানগর থেকে সিলেট কুমিল্লা নোয়াখালী চট্টগ্রাম নরসিংদীগামী লক্ষ লক্ষ যাত্রী বাস ট্যাক্সী প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা ট্র্যাফিক জ্যামের কারনে গাড়ীতে বসে থাকার অসহ্য যন্ত্রনা পোহাতে হতো। গর্ভবতী অনেক মহিলা রাস্তায় সন্তান প্রসবের ঘটনাও ঘটেছে। আজ শেখ হাসিনার সরকার সে সমস্যস সমাধান করেছে। আজ আর লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাড়ী ফেরার জন্য বা ঢাকা আসার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ীতে বসে হা হুতাশ করতে হয়না। সরকার কিসের জন্য? কর জন্য? সরকার মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণের জন্য। বিগত বি এন পি সরকারের আমলে কি হয়েছিল? উন্নয়নের টাকা হাওয়া ভবনে খাজনা হিসেবে দিতে হয়েছে। বিদ্যুতের খাম্বা লাগানোর টেন্ডার জমা হয়েছে হাওয়া ভবনে। বিদ্যুতের কোন কাজ সারা বাংলায় না করেই তারেক মামুনরা টেন্ডারে উল্লেখিত কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে বিদেশী ব্যাংকে জমা করেছিল। তিন) উত্তর বঙ্গের কোটী জনতার ঢাকা প্রবেশ পথে ট্র্যাফিস জ্যাম ছিল একটি একটি অভিশাপ। এ অভিশাপের মূল কারন ছিল ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মহাখালী পর্যন্ত দীর্ঘ দুই তিন মাইলের ট্র্যাফিক জ্যাম। এ বিশাল জাতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি সেনাবাহিনীর তদারকিতে ফ্লাই ওভার নির্মাণের চিন্তা করেন এবং বিল পাশ করেন। স্থাপন করা হয় বনানী থেকে মিরপুর ক্রসিং ফ্লাই ওভার, খিলক্ষেত থেকে কুড়িল, বাড্ডা মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডার মূল প্রবেশ দ্বারে কয়েকটি ফ্লাই ওভার যাতে উত্তর বঙ্গের যে সব যাত্রী যাত্রাবাড়ী নারায়ণগঞ্জ চট্টগ্রাম নোয়াখালী কুমিল্লা চাঁদপুরে অতি সহজেই যেতে পারেন। আর বি এন পি সরকারের আমলে সাদেক হোসেন খোকা মীর্জা আব্বাস ইউ এস এম্বেসীর সামনের ওভার ব্রীজের টাকা মেরে খাওয়াতে তা' ভেঙ্গে পড়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। খিল গাও ফ্লাই ওভারের টেন্ডারের টাকা তারেক জিয়াকে ভাগ দেয়ার কারনে সে অবস্থায়ই অসমাপ্ত অবস্থায় মানুষের দুর্যোগ আরো তিন গুন বাড়িয়ে দিয়েছিল। 
বিচার বিবেচনা বিশ্লেষন আপনাদের বিবেকের কাছে। আগামী নির্বাচনে আপনারা কি সেই খাম্বা চোরের লুটেরা বাহিনীকে ক্ষমতায়ন করতে চান, নাকি "উন্নয়নের রানী" জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চান?

এদের রুখে দাড়ান । ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে আওয়ামী লীগের সাথে থাকুন।

come to Mukthi's world and raise your hands against Islamic militants, terrorism,war criminal & loots and corruption.
আমরা ৭১ এর ২৬ শে মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বরকে বাদ দিয়ে কিছুই করতে পারিনা।  ৭১ আমাদের রক্তে মাংসে অস্তি মজ্জায় চেতনায় শিরায় উপ শিরায় ধমনিতে থাকা উচিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী যোগ্য স্বার্থক সফল রাজনৈতিক দল, গর্বিত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ । সে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সংগ্রামী সঙ্গী সাথীদের সারা জীবনের ত্যাগ তিতিক্ষা আর কঠিন সংগ্রাম শেষে ৩০ লক্ষ্য তাজা প্রান, ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা'বোনের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ 'ইজ্জতে'র'' বিনিময়ে প্রাপ্ত ফসল যে স্বাধীনতা, ৪৫ বছর পর আজ সে স্বাধীনতায় কুঠার আঘাত হেনেছে ৭১ এর ঘাতক দালাল হায়েনা নরপশু ইসলামের লেবাসধারী মউদুদীর মদদপুষ্ট জঙ্গি জানোয়ার জামাত এ ইসলাম, নেজাম এ ইসলাম আর মুসলিম লীগের রূপান্তরিত আল বদর আল শামস আর রাজাকার ।
এদের সাথে যোগ দিয়েছিল বিশ্ব বাটপার ধূর্ত অকপট শয়তান জিয়ার বিধবা স্ত্রী কুপুত্র তারেক রহমান। এদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ইন্ধন যোগাচ্ছে ডঃ ইউনুস ডঃ কামালসহ আরো কিছু বামপন্থী চরিত্রহীন দিকভ্রান্ত পথভ্রষ্ট নীতি আদর্শ বিবর্জিত ৭৫ এর ঘাতক ফ্রিডম পার্টির উচ্চাভিলাষী সেনা সদস্যের অবৈধ সন্তানেরা, যোগ দিয়েছে জে এম বি হিজবুল তাহরীর বাংলা ভাইয়ের অনুসারী বিপথগামী প্তহভ্রষ্ট কুলাঙ্গার জিহাদী জল্লাদ আন্সারুল্লাহ নামধারী আল ক্বায়েদার বীন লাদেনের ঘনিষ্ট বন্ধু সহকর্মী আল্লামাখ্যাত আহমেদ শফি গং রা।
এর সাথে যোদ দিয়েছে মরহুম আমিনীর কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক/মোদারেছিন যাদের সকল আর্থিক সাহায্য আসছে সৌদি আরব লিবিয়া ও পাকিস্তান থেকে । তারেক রহমান কর্তৃক লন্ডন থেকে। সারা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা জামাত ই ইসলামের আর্থিক অনুদানকারী সংগঠন/সংস্থা " ইবনে সীনা" ইসলামী ব্যাংকের মতো আরো অনেক আরাবিয়ান দাতাগোষ্ঠী। আওয়ামী লীগের কোন আর্থিক অনুদানকারী দাতা নেই। আছে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত বাংলার গরীব দুখি ছিন্নমূল মানুষের অগাধ ভালোবাসা আর দোয়া। জয় আমাদের হবেই ইনশায়াল্লাহ। মানুষের এই অগাধ বিশ্বাস আর ভালোবাসার কাছে ওদের সকল চক্রান্ত যড়যন্ত্র হীনমনোবৃত্তি ধূলায় মিলিয়ে যাবে ।তাই আজ ওদেরকে প্রতিহত করার জন্য ৭১ এর মতোই আবার গর্জে উঠতে হবে।
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সোনার বাংলা গড়ার সুযোগ দিন। ওরা আপনা আপনিতেই বিলীন হয়ে যাবে। 
মোকতেল হোসেন মুক্তি
মুক্তিযোদ্ধা
সভাপতি
সময়৭১
সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি
বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগ
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।     

Tuesday, October 23, 2012

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।ডা. এস এ মালেক


১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকান্ড

ডা. এস এ মালেক
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল প্রকৃত পক্ষে তাদের অনুগামীরাই এই গ্রেনেড হামলা চালায়দেশ যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের ধারায় আগ্রসর হতে না পারে সে কারণেই জাতির জনক যখন দেশ ও জাতির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে যখন সুনির্দিষ্ট আর্থসামাজিক কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়েছিলহত্যার পর সুদীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবিপক্ষবীরা দেশ শাসন করে দেশকে সত্যিকার অর্থে প্রতিক্রিয়ার ধারায় পরিচালিত করে এমন এক বাস্তবতার সৃষ্টি করে যাতে করে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রায় বিলীন হওয়ার উপক্রম হয় সুদীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন
এ কারণেই স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী চক্র যারা '৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিলমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করেছিল বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিলবাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পরও এ স্বাধীনতা মেনে নিতে রাজি হয়নিসেই অপশক্তি বারবার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ছিল তাদের সর্বাত্মকজঙ্গিবাদী চেষ্টাযার মাধ্যমে তারা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও দলের অন্য নেতাদের একই সঙ্গে হত্যা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেননির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব ছিল না বলেই দেশ স্বাধীনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু যখন সংসদীয় ধারায় দেশ পরিচালনা করছিলেন,স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তখন তারা তাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেঠিক একইভাবে প্রায় একই শক্তি শেখ হাসিনাকে হত্যা করে রাষ্ট্র ক্ষমতা নিজেদের কুক্ষিগত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ধারায় দেশ পরিচালিত করতে চেয়ে ছিলবেগম জিয়া তো একাধিকবার বলেছিলেন আর একটা ১৫ আগস্ট ঘটাবার কথাতিনি এ কথাও বলেছিলেন শেখ হাসিনার পরিণতি হবে তার পিতার মতোআর যেহেতু গ্রেনেড হামলাটা ঘটে যখন খালেদা জিয়া ক্ষতমাসীন তখন এই হত্যাকা-ের দায় মুক্ত হওয়া তার পক্ষে সম্ভব কি? বেগম জিয়ার সরকারের সময়কার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুফুজ্জামান বাবর ও মুফতি হান্নানের জবানবন্দি অনুযায়ী গ্রেনেড যদি সরবরাহ করে থাকেন এবং ওই হত্যাকা-ের প্রকৃত নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে থাকেন ও তার বিশিষ্ট বন্ধু হাওয়া ভবন থেকে মূল পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন তাহলে বেগম জিয়ার সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে চিন্তা করা কি অমূলক? প্রশ্ন জাগে কার নির্দেশে ওই হত্যাকা-ের সব আলামত ধ্বংস করা হলো কর্মরত ৩০০ পুলিশ কর্মকর্তার একজনও কিছু জানতে পারল নাতাদের কেউই অভিযুক্ত হলেন নানির্বিঘ্নে হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করা হলোঅপরদিকে শেখ হাসিনার গাড়ির ওপর গুলিবর্ষণ করা হলো
হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাক্ষণিকভাবে আহত জনগণের ওপর টিআর গ্যাস নিক্ষেপ করা হলোঅ্যাম্বুলেন্স এলেও আহতদের দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে উঠাতে বাধা সৃষ্টি করা হলো সর্বাত্মকভাবে হামলাকারীদের নিরাপত্তা বিধান করা হলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের জেনারেল জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি জারি করে নিরাপত্তা বিধান করেছিলেনআর ২০০৪ সালে বেগম জিয়ার সরকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিয়ে গ্রেনেড হামলাকারীদের সূম্পর্ণভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেনতাক্ষণিকভাবে বেগম জিয়ার ঘোষণা ছিল শেখ হাসিনা নিজেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেসরকারের ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্যই নাকি এই হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে জাতীয় সংসদে এই বর্বর হত্যাকা- নিয়ে কোনো আলোচনা তখন সরকারি দল হতে দেয়নি বরং ব্যঙ্গ করে অনেক কথা বলা হয়েছিলপরে সরকার ঘটনার তদন্তের নামে যে প্রহসনী কর্মকা- পরিচালনা করেছিলেনজজ মিয়াকে দিয়ে যে নাটক সাজাবার চেষ্টা করেছিল বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকতে পারলে হয়তো ওই তদন্ত ভিক্তিক একটা প্রহসনিক বিচারও সম্পন্ন হতে পারতোযার মধ্য দিয়ে প্রকৃত হত্যাকারীদের পরিচয় আজো অজানা রয়ে যেতসৌভাগ্যক্রমে বেগম জিয়া ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কারণে ঘটনা প্রবাহ সে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নিবরং পরে শেখ হাসিনার সরকার সঠিক তদন্ত করে যে মামলা পরিচালনা করছেন তা সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে প্রকৃত অপরাধীরাই সাজা পাবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই যারা অহরহ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা বলেন তাদের শাসন আমলে এরূপ মানবতাবিরোধী জঘন্য জঙ্গিবাদী তপরতা সংঘটিত হলো কী করে? একটা নির্বাচিত সরকারের আমলে এই ধরনের জঘন্য হত্যাকা- ঘটে যাওয়ার পর সরকার কী করে তার দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেসরকার পরিবর্তিত না হলে এবং পুনরায় সঠিক তদন্ত পরিচালনা করা না গেলে জজ মিয়াই হয়তো ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলতেনপ্রকৃত আসামি যারা আজ অভিযুক্ত হয়েছেন তারা নিরাপদ সম্ভ্রান্ত অভিজাত জীবন যাপন করতেনএকমাত্র গণতান্ত্রিক আইনের শাসনে দেশ ফিরে আসায় গ্রেনেড হামলার মতো জঘন্য হামলার বিচার হতে চলেছে১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের বিচার ইনডেমনিটি আধ্যদেশ থাকলেও তা বাতিল করে শেখ হাসিনার কারণে দেরিতে হলেও এ বিচার সম্পন্ন হয়েছেএখন গ্রেনেড হামলার বিচারও হবে বলে জাতি আশা করতে পারে বিএনপি থেকে এখন দাবি করা হচ্ছে তারা কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকা- ও বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত ননগ্রেনেড হামলার বিচার সম্পন্ন হলে তাদের দাবি কি ধোপে টিকবেতারা আরো বলছেন কোনো প্রকার জঙ্গি তপরতার সঙ্গে তারা জড়িত নন অথচ এ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে দেশের বিভিন্ন জেলায় একদশক ধরে যে সব বোমা হামলা হয়েছে, সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী কর্মকা- চলেছে তাদের সঙ্গে বিএনপির দল ও সরকারের সখ্যভাব কতটুকু? শেখ হাসিনা দু'বার ক্ষমতায় এসেছেনতিনি এখনো ক্ষমতায় আছেনতার মোট ক্ষমতা থাকার সময় প্রায় ৯ বছরএই সময়ের ভিতর বিরোধী দল কি একটি মাত্র ঘটনার উল্লেখ করতে পারবে যেখানে মানবতা আইনের শাসন, তাদের সময়ের মতো বিপন্ন হয়েছেবিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধ এই সময়ে যে ঘটেনি তা নয়কিন্তু সরকার ও সরকারি দল বিরোধী দলকে শেষ করে দেয়ার লক্ষ্যে গ্রেনেড হামলা করার মতো অপরাধ শেখ হাসিনার সরকার কখনো করতে পারে বলে কেউ কখনো ধারণা করবেন না দেশে আইনের শাসন বিরোধী তপরতা যখন প্রচ- আকার ধারণ করেছে তখন শেখ হাসিনাই ঘটনা প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেনএভাবেই দেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে চলছেস্বাধীনতার স্বপক্ষের দল হিসেবে জাতির জনকের কন্যা হিসেবে তার উপরে যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব অর্পিত তা পালন করার যথাসাধ্য চেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন ডা. এস এ মালেক: রাজনীতিক ও কলাম লেখক